সুপারিনটেনডেন্ট এর বাণী

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে শ্রেষ্ট মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তিনি মানুষের শ্রেষ্টত্বের প্রমাণ পেশ করেছেন জ্ঞানের ক্ষেত্রে ফেরেশতাদের উপর হযরত আদম আঃ এর শ্রেষ্টত্বের মাধ্যমে। সর্বপ্রথম হেরাগুহায় যে অমীয় বাণীর মাধ্যমে মহানবী সাঃ এর নবুয়তী মিশনের সূচনা হয়েছে তা হলো “পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন”। এখানে পড়া’ দ্বারা ঐ ইলম অর্জনের কথা বলা হয়েছে যে ইলম ধারন করে মহানবী সাঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস। এক সময় জাগতিক ও আধ্যাত্নিক জ্ঞানের অপূর্ব সমন্বয় এ শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে এমন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সৃষ্টি হয়েছিলেন, যারা সমগ্র বিশ্বকে বিস্মিত, হতবাক ও আলোকিত করেছিলেন। তারা শুধু পুথিগত জ্ঞানের সমৃদ্ধ ছিলেন না বরং সেই জ্ঞানের সফল বাস্তবায়নে অতুলনীয় দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছিলেন। তারা ছিলেন রাষ্ট্র ও সমাজের সফল পরিচালক, নিষ্টায় ও পরোপকারী আদর্শিত জ্ঞানের প্রতিক। বর্তমান প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ওহী ভিত্তিক না হওয়ায় তা সুস্থ্য মানসিকতা ও আত্বার উন্নতি সাধনে সহায়ক হচ্ছে না। এ শিক্ষা দেশের নাগরিকদের চরম অবিবেচক স্বার্থপর রূপে গড়ে তুলছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে আমাদের দেশকে সারা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দূর্ণীতির  গ্লানী বহন করতে হচ্ছে। অপরদিকে আমাদের দেশের মাদরাসা শিক্ষা কার্যক্রমে আজও অবিলম্বিত হয়নি কোন আধুনিক ধারা ও পদ্ধতি। ফলে আগ্রহ থাকা সত্বেও সচেতন মহল এ শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দিক-নির্দেশনা থেকে তাদের সন্তানদের বঞ্চিত করছেন। অতএব আজ কুরআন-হাদীস এবং আধুনিক বিজ্ঞানের প্রযুক্তি সমন্বিত এমন এক শিক্ষা পদ্ধতি অপরিহার্য যা পার্থিব সফলতার পাশাপাশি পরকালিন মুক্তি নিশ্চিত করবে।